Thu. Nov 20th, 2025
gay meeting
সফল

আপনি কি জীবনে সফল হতে চান? যেকোনো কাজে সফল এবং প্রভাবশালী হওয়ার তিনটি উপায় জানুন

আমরা সবাই জীবনে সফল হতে চাই কিন্তু সফলতার মানেটাই অনেকে জানিনা অথবা সফলতার চাবিকাঠি খুঁজে পাইনা। জানলে আবাক হবেন সফল হওয়ার টোটকা বা কোন জাদু মন্ত্র থাকলে এতদিনের সবাই সফল হয়ে যেত। সফল হওয়ার কোন জাদু মন্ত্র নেই। আপনাকে মাঠে নেমে হাতে ধরে হাজারো জিনিস করতে হবে।

যারা তেমন একটা সফল নয় বা একদমই সফল নয় তারাই ভাবেন কোথাও একটা বইয়ের দশটা টিপস পড়লেই আপনি সফল হয়ে যাবেন। কিন্তু যারা সফল তারাই জানেন তাদের মাথার নিচে পা উপরে করে প্রতিদিন কত সার্কাস করতে হয়। শুধু কোন পার্টি বা নেমন্তন্নই তারা শুধু মাথা উঁচু করে দাঁড়ান বাকিটা সময় তাদের মাথার নিচে পা উপরে থাকে।

আমাদের এটা বুঝতে হবে আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে সফলতার সন্ধান করবেন না। আপনি যা চাইবেন তা হলো দক্ষতা। আপনি যদি নিজেকে কোন কঠিন কাজের যোগ্য করে তোলেন আপনি যদি কোন কিছু ভালো করে করেন তাহলে অন্য লোকেরা বলবেন আপনি সফল। আপনি নিজেই নিজেকে সফল মনে করলে সেটা তো মুর্খাতার পরিচয়। আপনি কিছু করছেন আর সেটাকে ভালোভাবে করছেন এতে শহরের লোকেরা বা অন্যান্য দেশের লোকেরা বলবেন, “ও তিনি তো সত্যিই সফল কিছু করছেন।” তারা আপনাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখছেন এটাইতো ভালো। কিন্তু নিজেই নিজেকে সেই চোখে দেখলে সেটাতো পাগলামো তাই না?

তাই কখনো সাফল্য খুঁজতে যাবেন না। আপনি যোগ্যতা তৈরি করুন। তৈরি করুন দক্ষতা। আপনার পক্ষে সেরা যা যা করার সেগুলো করুন। আপনি অন্য কারো মতো ভালো করতে পারবেন না কিন্তু আপনার পক্ষে যে সেরাটা করা সম্ভব সেটা করতেই পারেন। যদি নিজের সেরাটা দেন আর সেটি যদি ভালো হয় তাহলে আপনাকে পৃথিবী স্বীকৃতি দেবেই। আর যদি সেটা নাও হয় তাহলে আপনি খুশি থাকবেনই।

এবার জেনে নেয়া যাক সফলতা জিনিসটা আসলে কি? এটা পেতে কি লাগে।

আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে অনেক লোককেই দেখবেন যারা রোজ সকালে ঠিক সময় জল খাবারটা খান। আর জলখাবারের পর চা কফি তো খেতেই হবে। আর চা কফি খাওয়ার পর তো সিগারেট ধরাবেনই। আর যেখানে বসবেন সেখানে খুব আরাম করে বসবেন। কারণ তারা শান্তিতে থাকার চেষ্টা করছেন।

আর তারপরেই তারা কাজে বেরোবেন। দুপুরের খাবারের জন্য হয়তো কেউ কেউ বাড়িতে ফিরবেন আর না হয় তাদের অফিস বা কাজের জায়গাতে বসেই ঠিক সময়ে লাঞ্চ করবেন। এক দু ঘন্টা রেস্ট নেবেন কেউ কেউ ঘুমাবেন। তারপর কাজ শেষে আবার ধুমপান সঙ্গে এক কাপ চা তারপর আবার কাজে যাবেন। এরপর রাত আটটা নটা নাগাদ বাড়িতে ফিরবেন ডিনারের জন্য আর তারপর হয়তো অন্য কিছু করবেন কেউ আবার বাড়ি ফিরে মদ খাবেন। কিন্তু যারা খুব সফল হয়েছেন। সে গান-বাজনা হোক কিংবা খেলা ধুলোয়, শিল্পে, ব্যবসা-বাণিজ্যে বা আধ্যাত্মিকতায় যেকোনো কিছুতেই হতে পারে।

সেই মানুষগুলো কখনোই জানেন না কখন খেয়েছিলেন কখন ঘুমিয়ে ছিলেন আর কখন নিয়েছিলেন দুপুরের রেস্ট। এটা তারা কখনো জীবনে অনুভবই করতে পারে না।যে মানুষ যে কাজটা করছেন সেটা নিয়ে সফল হওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকেন। তাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো যেখানে আরাম বা সুবিধের লাগে তারা সেখানেই ক্ষান্ত হয়ে যান না বা থেমে থাকেন না।

কারণ যখন আপনাকে কবর দেওয়া হবে তখন আরাম এমনিতেই লাগবেই। খুব আরামে থাকবেন তখন। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো। আমাদের অভিজ্ঞতাটা যেন গভীর হয়। আর আমাদের কাজকর্ম যেন প্রভাবশালী হয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা যদি আপনাকে অফুরন্ত সময় দিয়ে থাকতেন তাহলে সব কিছুই করতে পারতেন কোন ভুল নেই। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আপনাকে খুব কম সময় দিয়েছেন এবং মানুষ হওয়ার এই যে মারাত্মক সম্ভাবনাটা দিয়েছেন এটাই তো সমস্যা।

আপনাদের প্রত্যেকের কাছে আপনার জীবনটা মূল্যবান তাই না? এই জীবনটা যদি মূল্যবান হয় তাহলে এই জীবনকে কিসের পেছনে খরচ করতে চান? দেখুন আপনি যাকে আমার জীবন বলেন এটা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় আর শক্তি। তাই নয় কি? এই যে আপনি বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন আপনার জীবনটা টিকটিক করে বয়ে চলেছে। যা বয়ে চলেছে সেটা সময় নয় যা বয়ে চলেছে সেটা আপনার জীবন। আপনি কি এটার সঙ্গে একমত? এই যে শক্তি আপনি যাকে আমার জীবন বলে মনে করেন। আপনি সেটাকে কিসের পেছনে খরচ করবেন? আপনি যদি সত্যিই স্বার্থক কোন কিছু করেন তাহলে কি ঘটেছে তা জানার আগেই শেষ হয়ে যায়। যখন আপনি কোন কিছু অর্থহীন করেন তখনই যেন মনে হয় এটা একটা দীর্ঘ জীবন।

আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করে থাকবেন কোন নির্দিষ্ট একটা দিনে যখন আপনি খুব খুশি থাকেন। তখন ২৪ টা ঘন্টা এমন ভাবে চলে যায় যেন একটা মুহূর্ত। কিন্তু আপনি দুঃখের থাকলে তখন ২৪ ঘন্টা মনে হয় দশটা বছর। আপনারা কি এটার লক্ষ্য করেননি। শুধুমাত্র দুঃখী মানুষের জীবনটাই লম্বা হয়। আনন্দে থাকা মানুষদের জীবনটা বয়ে যায় যেন একটা পলক যেন কটা দিন মাত্র। সময় এভাবেই কেটে যায়। জীবনে আপনি যেটা করতে চান। বা আপনার জীবনের যেটা লক্ষ্য। এটা পূরণ করার জন্য জীবনের সবকিছু থেকে প্রভাব মুক্ত হতে হবে।

যেমন আপনার বন্ধুবান্ধব,বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক-শিক্ষিকা কারো কথায় প্রভাবিত না হয়ে আপনি একা কিছু সময় কাটান। অন্তত দু-তিন দিনের জন্য। এবং দেখুন আমি এই জীবনটাকে কোন উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারি। কি সেই জিনিস যার পেছনে আমার জীবনটা খরচ করলে আজ হোক বা ৫০ বছর পরেই হোক যা একই রকম গুরুত্ব রাখবে। যা সার্থক মনে হবে। আপনি আপনার জীবনকে তাতেই সম্পূর্ণ নিবেশ করুন। সে যাই হোক না কেন যত ছোট কাজই হোক বা বড় কাজই হোক তাতে কিছু যায় আসে না। যদি আপনি দেখেন সত্যি সেটা সার্থক কিছু। আর আপনি আপনার জীবনটা সেই কাজে ব্যয় করেন। তাহলে আপনি একটা পরিপূর্ণতায় সফলতায় ভরা জীবন পাবেন।

আরও পড়ুন

বাংলার মেয়ে ফলক নাজ লাখো মানুষের অনুপ্রেরণা আজ

One thought on “জীবনে নিশ্চিতভাবে সফল হওয়ার ৩ টি সিক্রেট কৌশল”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *